ঢাকা ০৯:৫২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পুরুষের মন পেতেই নারীরা বয়স লুকায়, আছে অন্য কারণও

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৮:৫৯:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ জুলাই ২০১৭
  • ২৭৮ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ  আপনার বয়স কত, এমন একটি প্রশ্ন যদি একজন পুরুষকে করা হয় তাহলে এই প্রশ্নের সঠিক জবাবটি মূহূর্তের মধ্যেই বলে দেবেন নিশ্চয়।আর যদি আপনি একজন নারীকে এই প্রশ্ন করেন, তাহলে হয়তো আপনি এর উত্তরই পাবেন না। কিংবা ভুল উত্তর পাবেন। কারণ, অধিকাংশ নারীরাই নিজের বয়স গোপন করতে চান। এই বিষয়টি অনেকের কাছেই হয়তো একটি রহস্য। আসুন জেনে নেওয়া যাক নারীদের বয়স গোপন করার ৭ রহস্য সম্পর্কে-

১। বিয়ে সমস্যা-

পুরুষতান্ত্রিক সমাজে বিয়ে করার ক্ষেত্রে কম বয়সী মহিলাদেরই জয়জয়কার। আর তাই বিয়ের উপযুক্ত পাত্রী হয়ে ওঠার জন্য অনেক মহিলাই নিজের বয়স লুকিয়ে রাখেন। এমনকি খুব কাছের বন্ধুবান্ধবের কাছেও নিজের সঠিক বয়সটা বলেন না অনেকেই।

২। কম বয়সী দেখানো-

অনেক মহিলাই মনে করেন যে বয়স কম বললে তাদেরকে দেখতেও কম বয়সী দেখাবে। আর এই ভ্রান্ত ধারণা থেকে অনেক নারী বয়স লুকিয়ে থাকেন।

৩। পুরুষের মন পাওয়া-

পুরুষের মন পাওয়ার ইচ্ছা তো সব নারীরই গোপন বাসনা। আর তাই তারা ভাবেন নিজের বয়স কমিয়ে বললে পুরুষের মন পাওয়া বেশ সহজ হবে এবং পুরুষের কাছে আরও বেশি আকর্ষণীয় হওয়া যাবে।

৪। পরিবারের কাছ থেকে শিক্ষা-

আমাদের সমাজে একটি প্রচলিত বিষয় হলো বাড়ির বড়রা তাদের সন্তানদের আসল বয়স বলতে মানা করেন। তাদের মধ্যে এই বিষয়টি নিয়ে নানান রকম কুসংস্কার কাজ করে। ফলে মেয়েরা তাদের সঠিক বয়সটি কাউকে বলতে চায় না।

৫। চাকরি-

চাকরি পাওয়ার জন্য অনেকসময় বয়সসীমা নির্ধারণ করা থাকে। আর এই বয়সের ভেতরে থাকার জন্য অনেক মহিলাই নিজের প্রকৃত বয়সটি লুকানোর চেষ্টা করেন।

৬। বুড়িয়ে যাওয়ার ভয়-

অধিকাংশ নারীর মনে সাধারণ একটি ফোবিয়া থাকে। আর তা হলো বুড়িয়ে যাওয়ার ভয়। বুড়িয়ে যাওয়ার ভয়ে তাঁরা নানান রকম রূপ চর্চা, প্লাস্টিক সার্জারি এবং যোগ ব্যায়াম করে থাকেন। আর তাই  লোকে বুড়ি ভেবে বসে, তাই নিজের সঠিক বয়সটাও বলতে চান না মানুষকে।

৭। হিংসা-

নিজের পরিচিত কোনও কম বয়সী সুন্দরী নারীর পাশে থাকলে অধিকাংশ নারীরাই নিজের বয়স লুকাতে চান। হিংসা থেকেই হোক আর নিরাপত্তাহীনতা থেকেই হোক এই প্রবণতাটি কম বেশি বেশ কিছু নারীর মধ্যেই লক্ষ্য করা যায়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

পুরুষের মন পেতেই নারীরা বয়স লুকায়, আছে অন্য কারণও

আপডেট টাইম : ০৮:৫৯:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ জুলাই ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ  আপনার বয়স কত, এমন একটি প্রশ্ন যদি একজন পুরুষকে করা হয় তাহলে এই প্রশ্নের সঠিক জবাবটি মূহূর্তের মধ্যেই বলে দেবেন নিশ্চয়।আর যদি আপনি একজন নারীকে এই প্রশ্ন করেন, তাহলে হয়তো আপনি এর উত্তরই পাবেন না। কিংবা ভুল উত্তর পাবেন। কারণ, অধিকাংশ নারীরাই নিজের বয়স গোপন করতে চান। এই বিষয়টি অনেকের কাছেই হয়তো একটি রহস্য। আসুন জেনে নেওয়া যাক নারীদের বয়স গোপন করার ৭ রহস্য সম্পর্কে-

১। বিয়ে সমস্যা-

পুরুষতান্ত্রিক সমাজে বিয়ে করার ক্ষেত্রে কম বয়সী মহিলাদেরই জয়জয়কার। আর তাই বিয়ের উপযুক্ত পাত্রী হয়ে ওঠার জন্য অনেক মহিলাই নিজের বয়স লুকিয়ে রাখেন। এমনকি খুব কাছের বন্ধুবান্ধবের কাছেও নিজের সঠিক বয়সটা বলেন না অনেকেই।

২। কম বয়সী দেখানো-

অনেক মহিলাই মনে করেন যে বয়স কম বললে তাদেরকে দেখতেও কম বয়সী দেখাবে। আর এই ভ্রান্ত ধারণা থেকে অনেক নারী বয়স লুকিয়ে থাকেন।

৩। পুরুষের মন পাওয়া-

পুরুষের মন পাওয়ার ইচ্ছা তো সব নারীরই গোপন বাসনা। আর তাই তারা ভাবেন নিজের বয়স কমিয়ে বললে পুরুষের মন পাওয়া বেশ সহজ হবে এবং পুরুষের কাছে আরও বেশি আকর্ষণীয় হওয়া যাবে।

৪। পরিবারের কাছ থেকে শিক্ষা-

আমাদের সমাজে একটি প্রচলিত বিষয় হলো বাড়ির বড়রা তাদের সন্তানদের আসল বয়স বলতে মানা করেন। তাদের মধ্যে এই বিষয়টি নিয়ে নানান রকম কুসংস্কার কাজ করে। ফলে মেয়েরা তাদের সঠিক বয়সটি কাউকে বলতে চায় না।

৫। চাকরি-

চাকরি পাওয়ার জন্য অনেকসময় বয়সসীমা নির্ধারণ করা থাকে। আর এই বয়সের ভেতরে থাকার জন্য অনেক মহিলাই নিজের প্রকৃত বয়সটি লুকানোর চেষ্টা করেন।

৬। বুড়িয়ে যাওয়ার ভয়-

অধিকাংশ নারীর মনে সাধারণ একটি ফোবিয়া থাকে। আর তা হলো বুড়িয়ে যাওয়ার ভয়। বুড়িয়ে যাওয়ার ভয়ে তাঁরা নানান রকম রূপ চর্চা, প্লাস্টিক সার্জারি এবং যোগ ব্যায়াম করে থাকেন। আর তাই  লোকে বুড়ি ভেবে বসে, তাই নিজের সঠিক বয়সটাও বলতে চান না মানুষকে।

৭। হিংসা-

নিজের পরিচিত কোনও কম বয়সী সুন্দরী নারীর পাশে থাকলে অধিকাংশ নারীরাই নিজের বয়স লুকাতে চান। হিংসা থেকেই হোক আর নিরাপত্তাহীনতা থেকেই হোক এই প্রবণতাটি কম বেশি বেশ কিছু নারীর মধ্যেই লক্ষ্য করা যায়।